
কাঁচা আমের চাটনির রেসিপি বললে এক কথায় কিছুই বলা যায় না । কারণ আমের চাটনির বহুরূপতা আছে। ঠিক শুধু আম বললে যেমন কিছুই বোঝা যায় না - সেটি হিমসাগর না ল্যাংড়া নাকি ফজলি নাকি দশেরা । তেমনি আমের চাটনি শুনলেও বাঙালির মনের মধ্যে ভেসে ওঠে নানান প্রশ্ন - চিনি আম নাকি গুড় আমের চাটনি, খোসা ছাড়ানো আম নাকি খোসা শুদ্ধ আমের চাটনি। নাকি আবার আমের জেলি চাটনি। হতে পারে মিষ্টি চাটনি নয়তো বা টক চাটনি। কিন্তু যে চাটনি-ই হোক না কেন তিনি আসবেন বাঙালির দুপুরের খাবারের শেষ পাতে। আর যা-ই খাই না কেন চাটনি দিয়ে জিভে জল এসে জুড়িয়ে না যাওয়া পর্যন্ত দুপুরের খাবারের তৃপ্তি হবে না।
আজ এখানে আমার মায়ের হাতের একটি টক-মিষ্টি আমের চাটনির রেসিপি শেয়ার করছি।

খুব মুখরোচক ও সুস্বাদু টক ঝাল মিষ্টি কাঁচা আমের চাটনি।
উপকরণ (Ingredients):
- মাঝারী সাইজের কাঁচা আম খোসা ছাড়ানো ডুমো করে কাটা - 2 টি
- সরষের তেল - 2 টেবিল চামচ
- পাঁচ ফোড়ন -1/2 চা চামচ
- তেজপাতা - 1-2 টি
- শুকনো লঙ্কা - 1-2 টি
- হলুদ - 1/2 চা চামচ
- চিনি - 4-5 টেবিল চামচ (স্বাদ অনুযায়ী)
- ভাজা মশলা *
- নুন - স্বাদ অনুযায়ী
প্রণালী (Instructions):
- একটি পরিষ্কার কড়াই গ্যাসে বসিয়ে তাতে সরষের তেল দিতে হবে।
- তেল বেশ গরম হলে ওতে তেজপাতা, পাঁচ ফোড়ন আর শুকনো লঙ্কা এক এক করে দিতে হবে।
- ফোড়ন একটু লালচে হলেই কেটে রাখা আম গুলো ছেড়ে দিতে হবে।
- ১ মিনিট মতো আম গুলো ভেজে নিয়ে ওর মধ্যে নুন ও হলুদ দিয়ে আর ২ থেকে ৩ মিনিট আম গুলোকে ভাজতে হবে।
- এরপর ১ কাপ মতো জল দিয়ে ১ - ২ মিনিট মতো ফুটতে দিতে হবে।
- এবার বড় চামচের ৪-৫ চামচ চিনি দিয়ে আর কিছুক্ষণ ফুটতে দিতে হবে।
- এই অবস্থায় নুন আর মিষ্টি চেখে দেখে প্রয়োজন মতো নুন বা মিষ্টি দেওয়া যাবে।
- ফুটতে ফুটতে রস ঘন হয়ে আসবে। পছন্দ অনুযায়ী চাটনি ঘন বা পাতলা করা যেতে পারে।
- মোটামুটি ৫-৮ মিনিট পরে গ্যাস বন্ধ করে দিতে হবে। নামানোর আগে ভাজা মশলা* বড় এক চামচ ছড়িয়ে দিতে হবে।
গুরুত্বপূর্ণ টিপস (Important Tips):
- কাঁচা আমের চাটনি বা যে কোনো চাটনি অবশ্যই ঠান্ডা করে তার পর খেতে হবে।
- চিনির পরিবর্তে মিষ্টির সিরা ছেঁকে ব্যবহার করলে চাটনি ভালো হবে।
- গরম তেলে ফোড়ন যেন পুড়ে না যায় সেই দিকে খেয়াল রাখতে হবে।
- ফ্রিজে রেখে দিলে কাঁচা আমের চাটনি অনেক দিন ভাল থাকবে।
* ভাজা গুঁড়ো মশলা কি ভাবে বানাবেন - শুকনো তাওয়ায় জিরে ও শুকনো লঙ্কা (লঙ্কার পরিমাণ কম)ভেজে নিয়ে তারপর গুঁড়ো করে নিতে হবে।
রেসিপিটি আপনার কেমন লাগলো? আমাদের জানান নিচের ইমোজির মাধ্যমে।
রেসিপিটি আপনার ভাল লেগে থাকলে অবশ্যই শেয়ার করুন আপনার প্রিয়জনের সাথে।
0 Comments